রাকসু নির্বাচনের সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ শেষ; নির্বাচন কাল

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচন নিয়ে সবশেষ প্রেস ব্রিফিং করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার এফ. নজরুল ইসলাম।

আজ বুধবার (১৫ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন,
“রাকসু নির্বাচন আমাদের গৌরবময় ঐতিহ্যের প্রতীক। আমরা আনন্দের সঙ্গে জানাতে চাই, নির্বাচন কমিশন ইতোমধ্যে নির্বাচনের সকল প্রস্তুতি শেষ করেছে।”

তিনি আরও জানান, “একটি অংশগ্রহণমূলক, স্বচ্ছ, শান্তিপূর্ণ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন উপহার দেওয়াই নির্বাচন কমিশনের মূল লক্ষ্য। এই লক্ষ্যেই নির্বাচন কমিশন প্রতিটি ধাপে নির্বাচনকে বিতর্কমুক্ত রাখতে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে।”

এ সময় তিনি নির্বাচনি পরিসংখ্যানও তুলে ধরেন। এতে বলা হয়, ২৮ হাজার ৯০১ জন ভোটার এবং ৮৬০ জন প্রার্থী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেন। ৯টি একাডেমিক ভবনে স্থাপিত ১৭টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

কেন্দ্রীয় রাকসু নির্বাচনে ২৩টি পদে ৩৫০ জন, সিনেটে ৫টি পদে ৫৮ জন, এবং হল সংসদের ১৭টি হলে ২৫৫টি পদে মোট ৫৫৫ জন প্রার্থী লড়াই করছেন।
রাকসু নির্বাচনে মোট ভোটারের মধ্যে নারী ৩৯.০১% এবং পুরুষ ৬০.৯৯%।

সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচনে স্থানীয়দের দ্বারা সংঘাত বা বিশৃঙ্খলার সম্ভাবনা আছে কি না—সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে নির্বাচন কমিশনার মোস্তফা কামাল আকন্দ বলেন,
“রাকসু শুধুমাত্র ক্যাম্পাসের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, এটি জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোর একটি। এখানে আশপাশের সবাই সহযোগিতা করেছেন। এজন্য আমরা মনে করি কোনো রকম সংঘাতের ঘটনা ঘটবে না।”

তিনি আরও জানান, নির্বাচনে জালিয়াতি প্রতিরোধে তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ভোট প্রদানের পর ব্যবহারের জন্য অমোচনীয় কালি আমদানি করা হয়েছে।

নির্বাচনের সার্বিক নিরাপত্তা বিষয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার জানান, দুই হাজার পুলিশ সদস্য, ৬ প্লাটুন বিজিবি এবং ১২ প্লাটুন র‍্যাব পুরো বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা জোরদারে সক্রিয় রয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ২৮ জুলাই নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার মাধ্যমে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচনের কার্যক্রম শুরু হয়। কয়েক দফা নির্বাচন পেছানোর পর সর্বশেষ ১৬ অক্টোবর নির্বাচনের দিন ধার্য করা হয়।
গত ১৪ অক্টোবর রাত ১২টায় শেষ হয়েছে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণার সময়। আগামীকাল অর্থাৎ ১৬ অক্টোবর শেষ হবে রাবির ছাত্র সংসদ নির্বাচনের এক দীর্ঘ প্রতীক্ষা।