রাবি প্রতিনিধি: ৪ আগস্ট ২০২৫ , ২:১১ অপরাহ্ণ প্রিন্ট সংস্করণ
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থী সাজিদ আবদুল্লাহকে শ্বাসরোধে হত্যা ও পুকুরে মরদেহ ফেলে দেওয়ার ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থীরা। হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত ও দ্রুত বিচার দাবিতে সোমবার (৪ আগস্ট) বেলা ১১টায় প্যারিস রোডে ‘রাবিস্থ মিল্লাত পরিবার’-এর ব্যানারে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন তারা।
এ সময় শিক্ষার্থীরা স্লোগানে স্লোগানে ক্যাম্পাস প্রকম্পিত করেন—‘ইবিতে ছাত্র মরে, প্রশাসন কি করে’, ‘আমার ভাই কবরে, খুনি কেন বাহিরে’, ‘ইবিতে হত্যা কেন, ইন্টারিম জবাব চাই’, ‘বিচার বিচার বিচার চাই, সাজিদ হত্যার বিচার চাই’—ইত্যাদি।
মানববন্ধনে ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী সালাউদ্দিন আম্মার বলেন, “সাজিদ ছিলেন তামিরুল মিল্লাত কামিল মাদরাসার একজন মেধাবী শিক্ষার্থী, কোরআনে হাফেজ, সাংস্কৃতিক কর্মী ও জুলাই বিপ্লবের অন্যতম যোদ্ধা। তাকে পরিকল্পিতভাবে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। ১০ দিন পেরিয়ে গেলেও ইবি প্রশাসনের কোনো কার্যকর উদ্যোগ না নেওয়া চরম ব্যর্থতা।” তিনি আরও বলেন, “সাজিদ কখনো একা চলাফেরা করতেন না। অথচ তাকে একা পেয়ে হত্যা করে পুকুরে ফেলে রাখা হয়েছে—এটা নিছক দুর্ঘটনা নয়, স্পষ্ট হত্যাকাণ্ড।”
আরেক শিক্ষার্থী তাজুল ইসলাম বলেন, “একজন শিক্ষার্থী হত্যার ১০ দিন পার হলেও ইবি প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো অন্তর্বর্তী পদক্ষেপ পর্যন্ত নেওয়া হয়নি—এটা অত্যন্ত লজ্জাজনক। দিনে-দুপুরে এমন ঘটনা ঘটার পরও যদি প্রশাসন শুধু চুপ থাকে, তাহলে শিক্ষার্থীরা কোথায় নিরাপদ? আমরা দ্রুত বিচার এবং খুনিদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানাই।”
স্টুডেন্ট রাইটস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ফাহির আমিন বলেন, “সাজিদকে ঠান্ডা মাথায় পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। এই নির্মম হত্যার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না হলে পরবর্তীতে আরও এমন ঘটনার আশঙ্কা থেকেই যায়। প্রশাসন যদি সুষ্ঠু তদন্তে ব্যর্থ হয়, তাহলে আমাদের আন্দোলন আরও তীব্র হবে।”
উল্লেখ্য, গত ১৭ জুলাই ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহ আজিজুর রহমান হলসংলগ্ন পুকুর থেকে সাজিদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ঘটনার প্রায় দুই সপ্তাহ পর, ৩ আগস্ট প্রকাশিত ফরেনসিক প্রতিবেদনে নিশ্চিত করা হয় যে সাজিদকে শ্বাসরোধে হত্যার পর পানিতে ফেলে রাখা হয়েছিল।











