সারাদেশ

হত্যা মামলায় গ্রেপ্তারে নেই পিবিআইয়ের অগ্রগতি, রাস্তায় বাবার আহাজারি

  চিলমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি ২৯ জুলাই ২০২৫ , ১:৩১ অপরাহ্ণ প্রিন্ট সংস্করণ

ছেলে হত্যার এক বছর অতিবাহিত হলেও পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) রংপুরে মামলাটি তদন্তাধীন থাকলেও এখন পর্যন্ত এজাহার ভুক্ত আসামীকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। এনিয়ে ছেলে হত্যার বিচারের দাবিতে ব্যানার হাতে রাস্তায় দাঁড়িয়ে আসামীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানান। তবে পিবিআই বলছেন, আসামী গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে।

দীর্ঘ সময় পেড়িয়ে গেলেও নথিভুক্ত আসামীকে গ্রেপ্তার করতে ব্যর্থ প্রশাসন। ছেলের হত্যার বিচারের দাবী ও আসামীদের গ্রেপ্তারে প্রশাসনের ভুমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে স্থানীয় ও পরিবারের সদস্যদের মাঝে।

মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) সকাল ১১ টার দিকে উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরের চিলমারী হরিপুর সড়কের যান চলাচল বন্ধ করে প্রায় ২ ঘন্টা ব্যাপী মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

নিহত জোবায়ের আমিনের বাবা আব্দুল জলিল বলেন, ছেলে হত্যার বিচার চেয়ে প্রেস বিফ্রিং করেছি, বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় দিয়েছি, মানববন্ধন করেছি। আপনারা একটি আসামীকে গ্রেপ্তার করেন। আজকে নয় মাস হয় পিবিআইতে মামলা টা দিয়েছি এবং বিনয়ের সঙ্গে বলেছি আপনারা শুধু একটা আসামী ধরেন ৭ দিন লাগবে না, তিন দিন লাগবে না, তিন ঘন্টায় বের হয়ে আসবে কারা কেন? আমার ছেলে হত্যা করেছে। আমি এখনো বিনয়ের সাথে বলছি দ্রুত আসামীদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসেন।

মানববন্ধনে বক্তব্য বলেন, এত দিনেও হত্যা মামলার একটি আসামীকেও গ্রেপ্তার করা যায়নি? কয়েকদিন আগেও একই দাবি নিয়ে মানববন্ধন করেছি, আজকেও করছি। জোবায়ের আমিনকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করা হয়েছে। তারপর আসামীমা মিথ্যা নাটক সাজিয়েছে। সুতরাং দ্রুত আসামী গ্রেপ্তার না হলে আন্দোলন আরও বেগবান করে করা হবে।

পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) রংপুরে পুলিশ পরিদর্শক আবু সায়েম জানান, মামলা তদন্ত অবস্থা আছে, আমরা এখনো ফাইনালি পোস্টমর্টেম পাইনি, পাবো হয়ত বা। আসামি তো এলাকায় নাই, আমরা চেষ্টা করতেছি।

প্রসঙ্গত, গত বছরের ১৯ জুলাই ব্রহ্মপুত্র নদে পরে নিখোঁজ হওয়ার এক দিন পর কলেজছাত্র জোবায়ের হোসেন আমিনের লাশ ভেসে ওঠে। বিকৃত লাশ উদ্ধারের পর পরিবারের পক্ষ থেকে হত্যা মামলা করা হয়। এরপর ওই বছরের ২১ জুলাই চিলমারী মডেল থানায় মো. সাইনান স্বচ্ছ (২১) ও মো. ইউসুফ আহম্মেদ জায়েদের (২১) নামে ও আরও ছয়-সাত অজ্ঞাত আসামি করে মামলা নথিভুক্ত করা হয়।