নির্মাণ প্রকল্পে অচলাবস্থার অবসান: রুয়েট প্রশাসনের উদ্যোগে নতুন গতি

রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (রুয়েট) দীর্ঘদিন ধরে স্থবির অবস্থায় থাকা তিনটি গুরুত্বপূর্ণ নির্মাণ প্রকল্প—সিভিল ফ্যাকাল্টি বিল্ডিং, ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং (ECE) ফ্যাকাল্টি বিল্ডিং এবং প্রশাসনিক ভবনের কাজ নতুন করে গতি পেতে যাচ্ছে। প্রশাসনের নিরলস প্রচেষ্টা ও চাপ প্রয়োগের ফলে আজ শনিবার (২৭ জুলাই ২০২৫) একটি গুরুত্বপূর্ণ সমন্বয় সভার মাধ্যমে অচলাবস্থার অবসান ঘটে।

রুয়েট প্রশাসনিক ভবনের ২১৭ নম্বর কক্ষে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস এম আব্দুর রাজ্জাক, ছাত্রকল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক ড. মো: রবিউল ইসলাম সরকার, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন দপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ড. এইচ এম রাসেল, প্রধান প্রকৌশলী, এক্সেনসহ সংশ্লিষ্ট প্রকল্পের দায়িত্বশীল কর্মকর্তা ও ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান বিশ্বাস কনস্ট্রাকশনের কর্ণধার মো: নজরুল ইসলাম।

বৈঠকে মো: নজরুল ইসলাম লিখিতভাবে প্রতিশ্রুতি দেন, আগামী এক মাসের মধ্যে দৃশ্যমান অগ্রগতি সাধিত হবে এবং প্রকল্পের কাজ আগামী জুন ২০২৬-এর মধ্যে সম্পন্ন করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

মিটিং সম্পর্কে পরিকল্পনা ও উন্নয়ন দপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ড. এইচ, এম, রাসেল, বলেন ,“দীর্ঘদিন যাবত ভবনগুলোর কাজ অচল অবস্থায় ছিল, যা ২০২৬ এর ডিসেম্বরের মধ্যে সমাপ্ত করা অসম্ভবপর হয়ে যাচ্ছিল। শিক্ষার্থীদের স্বার্থে তৎপরতার অংশ হিসেবে আমরা ক্রমাগত চাপ প্রয়োগের ফলে আজ লিখিত প্রতিশ্রুতি দিয়েছে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি। আমরা নির্দেশনা দিয়েছি ডিসেম্বর ২০২৬ এর বদলে জুন ২০২৬ এর মধ্যে কার্য সম্পাদন করতে হবে এবং তারা আমাদের শর্তে লিখিত সম্মতি জ্ঞাপন করেছে। বর্তমান রুয়েট প্রশাসন জুলাই বিপ্লবের সুফল সাধারণ শিক্ষার্থীদের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে বদ্ধপরিকর।”

বিশ্বাস কনস্ট্রাকশনের কর্ণধার মো: নজরুল ইসলাম বলেন, “রুয়েট প্রশাসনের নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা দ্রুত জনবল বাড়িয়ে কাজের গতি আনব। আশা করি, খুব শিগগিরই অগ্রগতি দৃশ্যমান হবে।”

রুয়েট প্রশাসনের এই পদক্ষেপকে ইতিবাচকভাবে দেখছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থী মহল। জুলাই আন্দোলনের পরবর্তীকালে প্রশাসনের এই সক্রিয়তা সাধারণ শিক্ষার্থীদের প্রত্যাশা পূরণে নতুন বার্তা দিচ্ছে—রুয়েটে উন্নয়ন এখন দৃশ্যমান বাস্তবতায় রূপ নিচ্ছে।