চিলমারীতে সমবায় সমিতির ৪ কোটি টাকা আত্মসাৎ

নিজেদের গচ্ছিত অর্থ ফেরতের দাবিতে কুড়িগ্রামের চিলমারীতে দারিদ্র্যমুক্ত বহুমুখী সমবায় সমিতির বিরুদ্ধে সহস্রাধিক প্রতারিত সদস্য বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছেন। শনিবার সকালে উপজেলার রমনা ইউনিয়নের জোড়গাছ নতুন বাজার এলাকায় এই কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ২০০৭ সালের জুন মাসে ‘দারিদ্র্যমুক্ত বহুমুখী সমবায় সমিতি’ নামে একটি সংগঠন প্রতিষ্ঠিত হয়। একই বছর এটি উপজেলা সমবায় অফিস থেকে রেজিস্ট্রেশন পায়। প্রতিষ্ঠার পর প্রতিষ্ঠানটি প্রায় তিন হাজার সদস্য নিয়ে লোক দেখানো ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রম চালু করে।

উচ্চ মুনাফার প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন মেয়াদে সদস্যদের কাছ থেকে প্রায় ৩–৪ কোটি টাকা সংগ্রহ করে সমিতিটি। পরে হঠাৎ করে তারা কার্যক্রম বন্ধ করে দেয় এবং সদস্যদের টাকা ফেরত দিতে অস্বীকৃতি জানায়।

অর্থ ফেরত না পেয়ে ক্ষুব্ধ সদস্যরা শনিবার সকালে বিক্ষোভ ও মানববন্ধনে অংশ নেন।

খড়খড়িয়া এলাকার ছকিনা বেগম বলেন, “আমি ভিক্ষা করে ও মাটি কাটার কাজ করে সাড়ে ৬ লাখ টাকা জমা দিয়েছিলাম। এখন টাকা ফেরত না পেয়ে পাগল হয়ে গেছি।”

একইভাবে রিপন মিয়া (২ লাখ ৩০ হাজার টাকা), জয়ন্ত রায় জয়ন (১ লাখ ২২ হাজার টাকা), এরশাদুল হক (৮০ হাজার টাকা), সুফিয়া দেওয়া (১ লাখ ২৮ হাজার টাকা), জেলেখা বেওয়া (১ লাখ ৪৮ হাজার টাকা), কসভান বেওয়া (৬০ হাজার টাকা) ও মিম আক্তার (৩৬ হাজার ৫০০ টাকা)সহ প্রায় তিন হাজার গ্রাহকের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

দারিদ্র্যমুক্ত বহুমুখী সমবায় সমিতির সম্পাদক নুর আলম বলেন, “পরিচালক আনিসুর রহমান আনিস ও মিল্টনসহ ১৭ জন কর্মচারী সমিতির কাগজপত্র নিজেদের জিম্মায় নিয়েছেন। ফলে আমরা হিসাব দিতে পারছি না। সম্প্রতি সাতটি জমির দলিল মূলে ৯৫ লাখ টাকা ফেরতের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।”

তবে সমিতির পরিচালক(ঋণ)আনিসুর রহমান আনিসের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তাকে পাওয়া যায়নি।