অনলাইন ডেস্ক : ৯ ডিসেম্বর ২০২৫ , ১:৫২ অপরাহ্ণ প্রিন্ট সংস্করণ
জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, এককভাবে ২০০ আসনে বিজয়ী হলেও দেশের স্থিতিশীলতা ও অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের স্বার্থে তাঁর দল জাতীয় সরকারই গঠন করবে। সোমবার রাজধানীর গুলশানে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূতদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা জানান।
বৈঠকে ইইউ প্রতিনিধিরা রোহিঙ্গা ইস্যু, সবার নিরাপত্তা, নির্বাচনি ইশতেহার এবং নির্বাচন-পরবর্তী ১০০ দিনের পরিকল্পনা নিয়ে নানা প্রশ্ন করেন। জবাবে জামায়াত আমির বলেন, ক্ষমতায় গেলে তাঁর দল ‘অন্তর্ভুক্তিমূলক বাংলাদেশ’ গড়তে কাজ করবে।
তিনি বলেন, “আমরা কোনো রাজনৈতিক শক্তিকে বাদ দেব না। দেশের অর্থনীতি পুনরুদ্ধার, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা, দুর্নীতি রোধ এবং স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে আগামী পাঁচ বছর জাতীয় সরকার খুবই প্রয়োজন।”
তিনি আরও বলেন, ভোটারদের সচেতনতার ঘাটতি থাকার কারণে একই দিনে জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট একসঙ্গে হলে প্রক্রিয়াগত ক্ষতির ঝুঁকি থাকে। তাই দুটি নির্বাচন আলাদা রাখার পরামর্শ দেন তিনি।
ফেব্রুয়ারিতে নির্ধারিত জাতীয় সংসদ নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার সুযোগ নেই বলেও মন্তব্য করেন জামায়াত আমির। তাঁর ভাষায়, “আমরা মনে করি, নির্বাচন নির্ধারিত সময়েই, অর্থাৎ ফেব্রুয়ারিতেই হওয়া উচিত।”
প্রতিনিধিত্বশীল গণতন্ত্রের জন্য প্রস্তাবিত সংখ্যানুপাতিক ভোটব্যবস্থার (পিআর) প্রতি দলের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করে তিনি বলেন, জনগণের স্বার্থেই এই দাবি করা হয়েছে এবং ক্ষমতায় গেলেও পিআর বাস্তবায়নে দল প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকবে।
রাজনীতিতে ধর্ম ব্যবহারের অভিযোগ নাকচ করে তিনি বলেন, “ধর্ম আমাদের চিন্তা ও চেতনার অংশ, ব্যবহার করার উপকরণ নয়। যারা নির্বাচন এলেই টুপি-তসবিহ নিয়ে হাজির হন, তারা ধর্মকে ব্যবহার করেন।”
ইইউ প্রতিনিধিদলে রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলারসহ সুইডেন, নরওয়ে, জার্মানি, ইতালি, ফ্রান্স, নেদারল্যান্ডসের কূটনীতিকরা। জামায়াতের পক্ষে ছিলেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য মোবারক হোসাইন, প্রফেসর মোকাররম হোসেন, জুবায়ের আহমেদ এবং পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মাহমুদুল হাসান।
এর আগে সকালে বসুন্ধরায় জামায়াত আমিরের সঙ্গে ঢাকায় নিযুক্ত ব্রুনাইয়ের হাইকমিশনার হাজি হারিস বিন ওসমান সাক্ষাৎ করেন। সাক্ষাতে ২০২৪ সালের গণবিপ্লবসহ বিভিন্ন গণতান্ত্রিক আন্দোলনে জামায়াতের ভূমিকা তুলে ধরা হয় এবং দুই দেশের ভবিষ্যৎ অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও সহযোগিতা আরও জোরদার করার আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়।











